আমি যখন ইউনিভার্সিটি অফ মালায়া (মালয়েশিয়া) থেকে সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এ ব্যাচেলর ডিগ্রি শেষ করে আমার প্রথম ফুল টাইম জবে ওয়েব ডেভেলপআর হিসেবে জয়েন করি, তার ঠিক ২ মাসের মাথায় কোভিড ১৯ প্যান্ডেমিকে সারা দুনিয়ায় লকডাউন শুরু হয়ে যায়। আমার সেই কুয়ালালামপুরের অফিসও আমাকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য আনপেইড লিভ দিয়ে দেয়। ব্যপারটা আমাকে হতাশ করে ফেলে। আমরা যে প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘণ্টা মেট্রো, বাস বা ট্যাক্সিতে ভীড় ঠেলে প্রতিদিন জবে যাই। জীবনের এতসব সুখ, শান্তি একটা স্থায়ী জবের জন্য দূরে ফেলে অফিসের একটা প্রমোশন ও ভাল অবস্থানের জন্য অতিবাহিত করে থাকি। আমাদের এম্পলয়াররা কি আমাদের দুর্ভোগের সময়ে কোন সাপোর্ট দিচ্ছে? আমার এই প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া যায় বিভিন্ন সময়ে বিশ্ব কাঁপানো কোম্পানি গুলো যেভাবে কর্মীদের ছাঁটাই করে যেকোন কোভিডের মত মহামারীতে, বা কোন অর্থণৈতিক বিপর্যয়ের পূর্ভাবাসে। এ কথা গুলোই আমার মাথায় বারবার ঘুরে ফিরে আসতে থাকে, একটা কোম্পানিকে কি আমার জীবিকা, সুখ, শান্তি ও মহামূল্যবান সময়ের এত নিয়ন্ত্রণ কি দেয়া উচিত?

৩ বছর পরের কথা, লেখাটা যখন লিখছি তখন আমি বসে আছি জার্মানির বার্লিন ওয়ালের সামনের স্টারবাক্স কফিশপে। কিছুক্ষণ আগেই আমার এক ক্লায়েন্টের সাথে তার Shopify স্টোরের নতুন ডিজাইন, মেটা এড ও UI/UX নিয়ে মিটিং করলাম। এখন দু ঘণ্টা এখানে বসে হাতের কিছু কাজ সেরে নেবো। বিকাল ৫ টায় দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে ফ্লাইট। জার্মানিতে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি প্রচণ্ড শীত থাকায় কিছুদিন আরব আমিরাতে এই সময়ের অসাধারন আবহাওয়া উপভোগ করবো। আমি কিন্তু কোন গল্প উপন্যাসের শুরুর পাতা লিখছি না। ৩ বছর আগেও লকডাউনের অনিশ্চিত সময়ে আমি যখন হতাশায় ডুবে গেছিলাম, সেই আমিই এখন আমার স্বপ্নের Digital Nomad জীবন বাস্তব করতে সক্ষম হয়েছি। আপনি আপনার ক্লায়েন্টের দরকার ও সমস্যা যত ভাল অনুমান করতে পারবেন, যত সুন্দর ভাবে তার কাছে সমস্যার সমাধান উপস্থাপন করতে পারবেন, তত ভরসাযোগ্য ফ্রিল্যান্সার আপনি হয়ে উঠবেন। তাই স্কিলের সাথে সাথে কমিউনিকেশনে ভাল হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

I’ll be regularly uploading new Shopify tutorial videos. The best part? Enroll once, and you will stay continuously updated about Shopify and E-Commerce Industry!